সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার এবং টেকসই উন্নয়ন

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। কার্যকর ও নিয়মতান্ত্রিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়াস ছাড়াও আইনি প্রচেষ্টা বাংলাদেশের দুর্যোগকবলিত মানুষের দুর্যোগ প্রশমনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এজেন্সি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং জনগণের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় বজায় রাখতে এবং দুর্যোগ আক্রান্ত জনগণের ভোগান্তি হ্রাস করার লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পারে। এই লেখাটি একটি গবেষণা পত্রের সারাংশ যা আমি লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS)-এর ভিজিটিং স্কলার হিসেবে লিখেছিলাম।

সংক্ষেপে বলি কিভাবে দুর্যোগ উন্নয়নকে প্রভাবিত করে? দুর্যোগ উন্নয়নের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে। পরিবারগুলি বাড়িঘর, জীবিকা এবং প্রিয়জন হারায়, মানুষ ব্যবসা, চাকরি এবং পরিষেবা হারায়, শিশুরা এবং বিশেষ করে মেয়েরা স্কুল মিস করে এবং বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকে ৷ দুর্যোগ দারিদ্র্য হ্রাসের অগ্রগতি বাতিল করতে পারে। এগুলি ছাড়াও, ঘন ঘন দুর্যোগের কারণে, মানুষের নির্ভরতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ সরকার বিগত কয়েক বছরে জাতীয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর ও পদ্ধতিগত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, লাইন এজেন্সি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং জনগণের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় বজায় রাখার জন্য এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তাদের যথাযথ কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য, বাংলাদেশ সরকার গত দশক থেকে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। তৃণমূল স্তর এই প্রক্রিয়াগুলিকে কার্যকর করার জন্য, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার (এসওডি) একটি গাইড বই হিসাবে কাজ করে। এসওডি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।

এসওডি অনুসারে ৩৬ জন সদস্য সমন্বয়ে ইউডিএমসি গঠিত, যেখানে কমিটির চেয়ারম্যান সর্বোচ্চ আরও তিনজন সদস্য সংযোজিত করতে পারেন এবং স্থানীয় বাস্তবতা ও বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় দল এবং উপ-দল গঠন করতে পারেন।ইউডিএমসিকে গ্রামীণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আকর হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তার দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন, জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখার কথা রয়েছে।

ইউডিএমসিকে নিশ্চিত করতে হয় যে, স্থানীয় জনগোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে অবহিত এবং তারা পারিবারিক ও সম্প্রদায় পর্যায়ে দুর্যোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম। একইসঙ্গে এ কমিটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিবার ও সম্প্রদায় পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত সাফল্যের গল্পগুলো ছড়িয়ে দেয় এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগের আশঙ্কা, দুর্বলতা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা এবং আকস্মিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

ইউডিএমসি ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে উন্নয়ন সংস্থা এবং পরিষেবা সরবরাহকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ করবে। দুর্ভাগ্যক্রমে, ইউডিএমসির সভায় আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অত্যন্ত সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে। এর দ্বারা বোঝায় স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভূমিকা, নির্দেশনা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে স্থানীয় প্রান্তিক জনগণের কাছে তথ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আসলে দুর্যোগ-পূর্ববর্তী সময়ে ইউডিএমসির কার্যকর ভূমিকা খুবই সীমিত।। স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অগ্রাধিকার পায়নি। যেসব ব্যক্তি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিচালনা করেন এবং নেতৃত্ব দেন, তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞান রাখেন না, যদিও এসওডি তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক সমন্বয় ও পরিচালনা করার ক্ষমতা দিয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় এ ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ এবং জবাবদিহিতার বোধ প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে দুর্যোগের ঝুঁকিমুখী জনগণ বঞ্চিত হয়, কেননা তারা কোনোভাবেই জানতে পারে না, স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কী কী এবং কোন ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। অন্যদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কমিটি পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকির নাজুকতা এবং বিদ্যমান সম্পত্তি বা সংস্থান পরিমাপ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমন প্রচেষ্টা কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত।

সত্যি বলতে, ইউডিএমসির কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং প্রশমনে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। ইউডিএমসির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এবং সর্বোপরি তাদের নিজস্ব দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সক্ষম করে তোলে। ইউডিএমসিগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ নিছক অলংকরণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বেশকিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে বলা হয়ে থাকে, তবে এ সম্পর্কিত তথ্যেও পর্যাপ্ততা বা কমিটিগুলো কোথায়, কীভাবে কাজ করছে এবং কোথায় করছে না তা জানার সুযোগ স্থানীয় জনগণের যৎসামান্যই আছে।

দুর্যোগ প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউডিএমসির কার্যকারিতার জন্য দুর্যোগের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী উভয় সময়েরই নিয়মিত ভিত্তিতে ইউডিএমসির সভা পরিচালনার আবশ্যকতা রয়েছে। দুর্যোগের আগে, সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে নিয়মিতভাবে ইউডিএমসির সভা আয়োজন করা; দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য নিবেদিত তহবিল সংগ্রহ; প্রতিটি ইউপি অফিসে দুর্যোগ সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা; ইউপি কমপ্লেক্সের মধ্যে দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ; জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রতিটি ইউপির অধীনে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা; দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ শুরু করা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচারণা তৈরি করা; এবং দ্রুত এবং সময়মত সমন্বয় নিশ্চিত করা । এর পাশাপাশি, ঝুকি মূল্যায়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রস্তুতি এবং প্রশমন সমাধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে ।

অধিকন্তু, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়ন টেকসই হতে হলে এটি অপরিহার্য। শুধুমাত্র যদি একটি দেশের শাসন কাঠামো একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক জননীতির বাস্তবায়ন ও প্রয়োগকে সক্ষম করে তাহলেই টেকসই জীবিকা অর্জন করা সম্ভব এবং দুর্যোগের সংবেদনশীলতা হ্রাস করা সম্ভব। কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করা আমাদের স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করতে এবং একটি সাধারণ বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নতুন অংশীদারিত্ব তৈরি করতে সক্ষম করবে যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

গ্রামীণ বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রকৃত অর্থে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ, কর্তৃত্ব, জনশক্তি এবং প্রশিক্ষণসহ একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার সময়ের দাবি। তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সবার দায়িত্ব’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেল অনুযায়ী ধনী-গরিব, শিক্ষিত, নিরক্ষর, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে জনগণকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পুরো প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত থাকতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তিনটি ধাপে (দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তী) অবদান রাখার জন্য তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত এবং তবেই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের একটি কার্যকর এবং ফলপ্রসূ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আশা করতে পারি।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

 

ইমেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান