রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার এবং টেকসই উন্নয়ন

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। কার্যকর ও নিয়মতান্ত্রিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়াস ছাড়াও আইনি প্রচেষ্টা বাংলাদেশের দুর্যোগকবলিত মানুষের দুর্যোগ প্রশমনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এজেন্সি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং জনগণের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় বজায় রাখতে এবং দুর্যোগ আক্রান্ত জনগণের ভোগান্তি হ্রাস করার লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পারে। এই লেখাটি একটি গবেষণা পত্রের সারাংশ যা আমি লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS)-এর ভিজিটিং স্কলার হিসেবে লিখেছিলাম।

সংক্ষেপে বলি কিভাবে দুর্যোগ উন্নয়নকে প্রভাবিত করে? দুর্যোগ উন্নয়নের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে। পরিবারগুলি বাড়িঘর, জীবিকা এবং প্রিয়জন হারায়, মানুষ ব্যবসা, চাকরি এবং পরিষেবা হারায়, শিশুরা এবং বিশেষ করে মেয়েরা স্কুল মিস করে এবং বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকে ৷ দুর্যোগ দারিদ্র্য হ্রাসের অগ্রগতি বাতিল করতে পারে। এগুলি ছাড়াও, ঘন ঘন দুর্যোগের কারণে, মানুষের নির্ভরতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ সরকার বিগত কয়েক বছরে জাতীয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর ও পদ্ধতিগত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, লাইন এজেন্সি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং জনগণের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় বজায় রাখার জন্য এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তাদের যথাযথ কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য, বাংলাদেশ সরকার গত দশক থেকে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। তৃণমূল স্তর এই প্রক্রিয়াগুলিকে কার্যকর করার জন্য, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার (এসওডি) একটি গাইড বই হিসাবে কাজ করে। এসওডি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।

এসওডি অনুসারে ৩৬ জন সদস্য সমন্বয়ে ইউডিএমসি গঠিত, যেখানে কমিটির চেয়ারম্যান সর্বোচ্চ আরও তিনজন সদস্য সংযোজিত করতে পারেন এবং স্থানীয় বাস্তবতা ও বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় দল এবং উপ-দল গঠন করতে পারেন।ইউডিএমসিকে গ্রামীণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আকর হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তার দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন, জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখার কথা রয়েছে।

ইউডিএমসিকে নিশ্চিত করতে হয় যে, স্থানীয় জনগোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে অবহিত এবং তারা পারিবারিক ও সম্প্রদায় পর্যায়ে দুর্যোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম। একইসঙ্গে এ কমিটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিবার ও সম্প্রদায় পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত সাফল্যের গল্পগুলো ছড়িয়ে দেয় এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগের আশঙ্কা, দুর্বলতা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা এবং আকস্মিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

ইউডিএমসি ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে উন্নয়ন সংস্থা এবং পরিষেবা সরবরাহকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ করবে। দুর্ভাগ্যক্রমে, ইউডিএমসির সভায় আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অত্যন্ত সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে। এর দ্বারা বোঝায় স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভূমিকা, নির্দেশনা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে স্থানীয় প্রান্তিক জনগণের কাছে তথ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আসলে দুর্যোগ-পূর্ববর্তী সময়ে ইউডিএমসির কার্যকর ভূমিকা খুবই সীমিত।। স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অগ্রাধিকার পায়নি। যেসব ব্যক্তি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিচালনা করেন এবং নেতৃত্ব দেন, তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞান রাখেন না, যদিও এসওডি তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক সমন্বয় ও পরিচালনা করার ক্ষমতা দিয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় এ ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ এবং জবাবদিহিতার বোধ প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে দুর্যোগের ঝুঁকিমুখী জনগণ বঞ্চিত হয়, কেননা তারা কোনোভাবেই জানতে পারে না, স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কী কী এবং কোন ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। অন্যদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কমিটি পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকির নাজুকতা এবং বিদ্যমান সম্পত্তি বা সংস্থান পরিমাপ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমন প্রচেষ্টা কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত।

সত্যি বলতে, ইউডিএমসির কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং প্রশমনে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। ইউডিএমসির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এবং সর্বোপরি তাদের নিজস্ব দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সক্ষম করে তোলে। ইউডিএমসিগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ নিছক অলংকরণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বেশকিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে বলা হয়ে থাকে, তবে এ সম্পর্কিত তথ্যেও পর্যাপ্ততা বা কমিটিগুলো কোথায়, কীভাবে কাজ করছে এবং কোথায় করছে না তা জানার সুযোগ স্থানীয় জনগণের যৎসামান্যই আছে।

দুর্যোগ প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউডিএমসির কার্যকারিতার জন্য দুর্যোগের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী উভয় সময়েরই নিয়মিত ভিত্তিতে ইউডিএমসির সভা পরিচালনার আবশ্যকতা রয়েছে। দুর্যোগের আগে, সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে নিয়মিতভাবে ইউডিএমসির সভা আয়োজন করা; দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য নিবেদিত তহবিল সংগ্রহ; প্রতিটি ইউপি অফিসে দুর্যোগ সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা; ইউপি কমপ্লেক্সের মধ্যে দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ; জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রতিটি ইউপির অধীনে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা; দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ শুরু করা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচারণা তৈরি করা; এবং দ্রুত এবং সময়মত সমন্বয় নিশ্চিত করা । এর পাশাপাশি, ঝুকি মূল্যায়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রস্তুতি এবং প্রশমন সমাধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে ।

অধিকন্তু, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়ন টেকসই হতে হলে এটি অপরিহার্য। শুধুমাত্র যদি একটি দেশের শাসন কাঠামো একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক জননীতির বাস্তবায়ন ও প্রয়োগকে সক্ষম করে তাহলেই টেকসই জীবিকা অর্জন করা সম্ভব এবং দুর্যোগের সংবেদনশীলতা হ্রাস করা সম্ভব। কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করা আমাদের স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করতে এবং একটি সাধারণ বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নতুন অংশীদারিত্ব তৈরি করতে সক্ষম করবে যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

গ্রামীণ বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রকৃত অর্থে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ, কর্তৃত্ব, জনশক্তি এবং প্রশিক্ষণসহ একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার সময়ের দাবি। তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সবার দায়িত্ব’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেল অনুযায়ী ধনী-গরিব, শিক্ষিত, নিরক্ষর, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে জনগণকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পুরো প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত থাকতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তিনটি ধাপে (দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তী) অবদান রাখার জন্য তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত এবং তবেই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের একটি কার্যকর এবং ফলপ্রসূ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আশা করতে পারি।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

 

ইমেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু

শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার দোতলা ভবনের দোতলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা শামছুন্নাহার ও ছেলে সানোয়ার হোসেন দগ্ধ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থায়ীয় জানা যায়, দোতলা ভবনের দোতলায় কিচেন রুমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে জানালার থাইগ্লাস ফেটে নিচে পড়ে। স্বজনরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ঢাকায় পাঠায়। আহত দুজনের মধ্যে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক ছিল পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বামী আবুল হাসেম প্রধান শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত গাফফার প্রধানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

প্রতিবেশী আব্দুল গফুর জানান, দোতলা ওই বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তিনিসহ প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে গিয়ে শামসুন নাহার ও তার ছেলে মো. সানোয়ার হোসেনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে শামসুন নাহারের অবস্থা ছিল গুরুতর। তার মুখসহ শরীরের অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে স্বজনরা তাদেরকে ঢাকা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে মা ও ছেলে দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস

দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। দেশের তরুণেরা খুবই উদ্যমী। ধর্মের বিষয়ে তারা খুবই পক্ষপাতহীন।'

গত শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকোনমিস্টের বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক ফোলিস।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

প্যাট্রিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ফিরে আসার কিছু ঝুঁকি আছে, সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ হওয়ায় ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান প্যাট্রিক।

ড. ইউনূস বলেন, 'আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত যে, ছাত্র অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছি। এরপর থেকে আমরা বলছি, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।'

তরুণরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'তরুণরা পুরো পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে। এটি কেবল একটি দেশের পরিবর্তন না, বাংলাদেশে যা হয়েছে সেটি তরুণ-যুবকরা কতটা শক্তিশালী তার উদাহরণ। আসুন, আমরা তরুণদের ওপর মনোযোগ দিই।'

'বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে তরুণীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের যে কোনো তরুণের মতো তারা (অভ্যুত্থানে) সামনের কাতারে ছিল। আমাদের তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়। যদি তারা সুযোগ পায়, তাদের সেটা করার সক্ষমতা আছে,' বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

'তারা এখন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অসাধারণ কাজ করছেন। তারা যোগ্য। তারা বিগত শতাব্দীর না, এই শতাব্দীর তরুণ। যোগ্যতার দিক থেকে তারা কোনো অংশে কম না।'

বাংলাদেশের নির্বাচনের পর কী করতে চান, প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, 'আমাকে আমার কাজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জোর করে এই কাজে আমাকে যুক্ত করা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম, যে কারণে আমি প্যারিসে ছিলাম। আমাকে ভিন্ন কিছু করার জন্য প্যারিস থেকে আনা হয়। আমি আমার কাজে ফিরে যাব এবং জীবন উপভোগ করবো।'

 

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ